
প্রস্তাব
আনন্দ অক্ষর নামতেই ধুন্ধুমার,
রূপসীরা ঝলমল, রথও প্রস্তুত
অথচ,
শূন্য বসেই ছিলেন।
কলম খসখস, তারই ঘরে
শূন্যের বাহারি ডিগবাজী
অক্ষর খেইহারা;
প্রস্তাবহীন তখনও খসড়া।
খ)
সময় টিকটিক,
তার চোখে রাখে চোখ
এ সাহস হয়নি আজও কার-ও—
তবু কানকি দিল দুঃসাহসী অক্ষর,
কুরুক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র!
কুরুক্ষেত্রে দু-জনে রূপ নেহারে।
গ)
পিঠে পিঠ শূন্যে—
কি হবে সন্ধি প্রস্তাব!
দোদুল্যমান
শূন্য এসে গেঁড়ে বসলেন,
চিন্তা সূত্রে ঝাঁকি
বাইরে থেকে ওই যে হাওয়া,
দিশা পাগল কালো মেঘের যাওয়া।
আকাশ মাতাল, শূন্যতাও শূন্য ভারি,
সঙ্গে যারা দোসর—
ফাঁকা কুম্ভে এক ফোঁটা জল
অনেক তাদের ছল।
সাধু কিংবা ভণ্ড
পর্ব ভেদে যা খুশি তা হোক
তাড়া তো নেই আমার কোনও
শূন্য মাঝে দোলন-বিম্ব, শূন্য।
সূত্র
রমণী ওইদিকে, এইদিকে পুরুষ
যোগে ও বিয়োগে মাঝখানে
সূত্র একা
— কাব্যভরা বাৎস্যায়ন,
নৌকাবিহীন পারাবার
আলো ও ফুলের চিহ্নে পথ
গমনাগমন তার
মোহ ও মায়ায় লেখা
জীব-শাস্ত্র
সুগন্ধি কানন।
ব্যাঞ্জন
খেলে যায়
ব্যাঞ্জনের স্বাদ, গন্ধ
মাখো-মাখো তাড়িত বাতাস;
লাল রুলি মুছে দেয় ঘাম।
রুপোর থালা ও গ্লাস টগবগ
বাটিতে বাটিতে দাহ্য,
বাঁশিটিও পালঙ্কে বসে ফেঁদেছে কবিতা
স্নানঘর, গুনগুন …
বাক্য অসমাপ্ত
প্রশান্ত অপেক্ষা ছিল
যদি সে নারীটি এসে
মুছে দ্যায় দাঁড়ি, কমা মায়
বাক্যের শরম, কথা এবং কাহিনি।
অপেক্ষা নরম ছিল,
হাওয়া ঠোনা দ্যায়
চোখের আড়ালে কথা
লুকিয়ে এখনও—
বাক্যটি অসমাপ্ত আজও।
ইঙ্গিত
সেই তো অন্তিম যাত্রা
হে রহস্য,
জল, বায়ু, অগ্নি
আর এই ধরিত্রীর মায়া।
ছায়া বৃক্ষ, ছায়া অন্ধকার
নিষিদ্ধ নীলাভ — লুকোন যত গোপন
আনাচে কানাচে,
তীর্থে;
অযুত তোরণ পথ শুধু
যাত্রাটি ইঙ্গিতময়।