
অভিমান
অহংকার থিতু হলে
জল হাতের পাতায়
সে কি পড়ে কররেখা!
আড়ালে আহত ছুরি
গাছে গাছে লেখা
লিপিটি উদ্ধার কর নদী।
প্রেম
তাপমুগ্ধ, দাঁড়িয়ে বুক পেতে
রৌদ্র দিন, একলা পথে
সঙ্গ দিতে দগ্ধ হল—
ছায়ায় তাকে রাখলে না যে!
পুড়তে চাও পোড়।
অপেক্ষা
‘রাখ হাত’ – এ-নির্জন করতলে
বলেছিল সুদূর অতীত
মৃদুল শব্দের চুড়ি ঢেউ তুলে
সলাজ কে যেন—
বিশ্বাস, তাকে তো পাবে
সে পরম নিভৃত আলোয়, ভাবে।
ভালবাসা
মধুর বটে মুখমণ্ডল
চিত্তে কী আছে কে জানে!
লালন পাগল হলে
দেহাতি বটুয়া খোলে।
অবশেষে—
চিতে লাগে দোল
সে যে কোষাগার মাগে!
হালচাল
পানপাত্র নয়, সোমপাত্র-ও না
কবিতা সৌষ্ঠব আক্ষরিক
কী জানে সে কবির?
ধরা দিতে চায়, ধরা নয়
চারিদিকে উলুধ্বনি
কবি তার ঝুলি নিয়ে ধুলোতে গড়ায়।
কলঙ্ক
মৃদু কথোপকথন
গর্জনের মতো কানে এসে বাজে
ঘূর্ণনের কালে
ওহ! গুঞ্জন,
অবশেষে মগজে, ভালবেসে।
ঊনকথা
কত মায়াবন, মরা ইতিহাস, ঘাট;
একাকী পথিক পার হয় সেতু
ওপারে কুমোরটুলি, প্রতিমা
এত অকিঞ্চিত, শব্দ- ব্রজপথে
চলা
নিপাতন
ব্রহ্নাণ্ড সুডৌল যদি
চৌকো বুঝি আতঁলেমি!
ওগো বুদ্বুদ, হাওয়া দূর আর বহুগামী।
শিরে নামে বজ্র
কী করে তোমায় পড়াই পাণিনি।